শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:৫৬ অপরাহ্ন
জগন্নাথপুর নিউজ ডেস্ক::
একসঙ্গে ৪৯টি লাশের জানাজা ও দাফন নিয়ে সংকটে পড়েছে দেশটির প্রবাসী মুসলিম সম্প্রদায়।
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদ থেকে একে একে বের করা হয়েছে ৪৯টি লাশ। কিন্তু একসঙ্গে এতগুলো লাশের জানাজা ও দাফন নিয়ে আরেক সংকটে পড়েছে দেশটির প্রবাসী মুসলিম সম্প্রদায়।
এটা একরকম চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের জন্য। স্বজন হারানোর বেদনায় মুষড়ে পড়েছে পরিবারগুলো। ঘটনার আকস্মিকতায় স্তম্ভিতও তারা।
এ পরিস্থিতিতে লাশগুলোর গোসল দেয়া, এতগুলো কবর খোঁড়া, লাশ কবরস্থানে নেয়া ও জানাজা পড়ার মতো দাফন প্রক্রিয়া তাদের জন্য কঠিনই বটে। দাফন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সহায়তার জন্য ফেসবুকে আবেদন জানানো হয়েছে।
শনিবার এ খবর জানিয়েছে নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড।
শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চের মসজিদ হামলায় মোট ৪৯ জনকে মৃত বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। এর মধ্যে আল নূর মসজিদে নিহত ৪১ জন ও লিনউড মসজিদের ভেতর সাতজন মারা যান। হাসপাতালে মারা যান আরও একজন। নিহতদের মধ্যে পুরুষ ও নারীসহ শিশুও রয়েছে।তবে পুরুষের সংখ্যাই বেশি।
নিউজিল্যান্ডের একজন প্রখ্যাত ইসলামী পণ্ডিত জাইন আলি বলেন, একসঙ্গে এতগুলো লাশের দাফনের আয়োজন করতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে ক্রাইস্টচার্চ মুসলিম সম্প্রদায়। চ্যালেঞ্জের প্রধান কারণ হিসেবে লোকবলের অভাবের পাশাপাশি পরিবারগুলোর বর্তমান ‘মানসিক, বাস্তবিক ও আধ্যাত্মিক’ অবস্থার কথা জানিয়েছেন তিনি।
জাইন আলি বলেন, স্বাভাবিক অবস্থায় যখন কোনো মুসলিম মারা যান, তখন সাধারণত পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে তার লাশ ধোয়া হয় এবং দাফনের জন্য কবরস্থানে নেয়া হয়।
ইসলামী প্রথা হচ্ছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব লাশ সমাধিস্থ করা। এটা সাধারণত মৃতু্যর দিনই সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু যে ঘটনা ঘটে গেছে তা সম্পূর্ণ অস্বাভাবিক ও অনাকাঙ্ক্ষিত। এ অবস্থায় দাফন প্রক্রিয়ার আয়োজন আমার কাছেও অসম্ভব লাগছে।
সূত্র: নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড
Leave a Reply