বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪১ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জলাশয় থেকে লাখ লাখ টাকার মাছ লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গঁলবার জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের মোজাহিদপুর (বুধরপুর) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, কুবাজপুর মৌজার জেল এল নং ২০০ দাগ নং ২৪২১ এর ২ একর ৬২ শতক বোরো জমি ও জলাশয় রকম সরকারি ভূমি রয়েছে। প্রথমে এ ভূমি বন্দোবস্ত নেন স্থানীয় মোজাহিদপুর (বুধরপুর) গ্রামের মৃত ফারুক মিয়ার ছেলে শফিকুল মিয়া গং। পরে বন্দোবস্ত ভূমিকে মালিকানা দাবি করে স্ট্যাম্পের মাধ্যমে একই গ্রামের তাহিদ উল্লার ছেলে প্রবাসী আক্কাছ মিয়ার কাছে বিক্রি করে দেন শফিকুল মিয়ার লোকজন। এ সময় প্রবাসী আক্কাছ মিয়া উক্ত ভূমি ক্রয় আবার প্রবাসে চলে যান। এ সুযোগে শফিকুল মিয়া আবারো উক্ত ভূমি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেন। আশ্রয় নেন মিথ্যাচার ও চলচাতুরির। বিষয়টি জানতে পেরে জগন্নাথপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) শফিকুল মিয়া গংদের বন্দোবস্ত বাতিল করে নতুন করে প্রবাসী আক্কাছ মিয়াকে উক্ত ভূমি বন্দোবস্ত দেন। বন্দোবস্ত পেয়ে প্রবাসী আক্কাছ মিয়ার পক্ষে জগন্নাথপুর পৌর এলাকার ইকড়ছই গ্রামের বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ উক্ত জলাশয়ে মাছের ফিসাারী করে মাছ চাষ করেন। এর মধ্যে শফিকুল মিয়া গং আবারো আপিল করেন। উক্ত আপিলের কারণে জগন্নাথপুর উপজেলা প্রশাসন উক্ত জলাশয়ে নিষেধাজ্ঞা জারী করে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেন। এক্ষেত্রে প্রবাসী আক্কাছ মিয়া পক্ষ প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা মানলেও শফিকুল মিয়ার লোকজন মানেননি। তারা সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দফায় দফায় উক্ত জলাশয় থেকে প্রায় ৩/৪ লাখ টাকার মাছ লুট করে নিয়েছেন। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ ২ বার অভিযান চালিয়ে শফিকুল মিয়ার লোকজনের জাল জব্ধ করলেও কাজ হয়নি। তারা কৌশলে মাছ লুট করে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে মঙ্গলবার জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে প্রবাসী আক্কাছ মিয়ার পক্ষে নুর মোহাম্মদ বাদী হয়ে শফিকুল মিয়া গংদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে অভিযোগ দায়ের করেন।
Leave a Reply