বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫২ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের আলীগঞ্জ বাজারে মেয়েকে না পেয়ে বখাটে সন্ত্রাসীরা বৃদ্ধ বাবাকে রড দিয়ে বেদম পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। সোমবার রাত ১টার দিকে এঘটনা ঘটে। এঘটনায় জগন্নাথপুর থানা পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। তবে প্রধান অভিযুক্ত লম্পট শামীম কে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। মঙ্গলবার বেলা ২টায় এএসপি জগন্নাথপুর সার্কেল মাহমুদুল হাসান চৌধুরীর সাথে আলাপ হলে তিনি জানান, এঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো গোতগাঁও গ্রামের লিটন মিয়া (৩২,আকাই মিয়া(২৮), আলম মিয়া (২৬),দিলাক মিয়া(২৬)।
তিনি আরো জানান, প্রধান অভিযুক্ত কে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পুলিশ মঙ্গলবার সকালে মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
পুলিশ, এলাকাবাসী ও নির্যাতিত বৃদ্ধের পরিবারের লোকজন জানান, সাত বছর আগে গোতগাঁও গ্রামের আনোয়ার আলীর মেয়ের বিয়ে হয় নবীগঞ্জ উপজেলার রাজারবাগ গ্রামের কবির মিয়ার সঙ্গে। দুই বছর তাদের মধ্যে দাম্পত্য বিরোধ দেখা দিলে একমাত্র পুত্র সন্তান কে নিয়ে মেয়েটি বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সেখানে এলে গ্রামের আংগুর মিয়ার বখাটে ছেলে শামীম মিয়া মেয়েটির ওপর নজর দেয়। প্রায়ই স্বামী পরিত্যক্তা মেয়েকে উত্যক্ত ও কু প্রস্তাব দিত। তার অত্যাচারে অতীষ্ঠ হয়ে মেয়েটির বাবা গোতগাঁও থেকে আলীগঞ্জ বাজারে একটি কলোনিতে ঘর ভাড়া করে মেয়েকে নিয়ে বসবাস করতে থাকেন। এক মাস আগে শামীম ওই কলোনি থেকে মেয়ে কে তুলে নিয়ে যায়। কিছু দিন আটক রেখে ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটি নবীগঞ্জ উপজেলার অভয়নগর গ্রামে গৃহপরিচারিকার কাজ নেয়। সোমবার রাত ১ টার দিকে শামীম তার লোকজন নিয়ে আলীগঞ্জ বাজারের কলোনিতে গিয়ে মেয়েটির খোঁজ করে। মেয়ে কে না পেয়ে তার বৃদ্ধ বাবা আনোয়ার আলী(৬৮) কে রড দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। খবর পেয়ে পুলিশ দূষ্কৃতকারীদের গ্রেফতারে অভিযান চালায়।
মেয়েটির বাবা বৃদ্ধ আনোয়ার আলী জানান, শামীমের অত্যাচারে মেয়ে কে নিয়ে তিনি অনেকদিন ধরে আতংকের মধ্যে আছেন। বিষয়টি স্হানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও জনপ্রতিনিধিদের অবহিত করে কোন প্রতিকার পাননি। মেয়ে কে ঘর থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে তার কাছে আটক রেখে ধর্ষণ করেছে। লোকলজ্জার ভয়ে মেয়েটি এখান থেকে নবীগঞ্জে গৃহপরিচারিকার কাজ নেয়। এতে শামীম ক্ষুব্ধ হয়ে আমাকে রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে।
পাইলগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মখলেছুর রহমান জানান, শামীম এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে থানায় চুরি ও মাদকের মামলা রয়েছে। মেয়েটিকে উত্যক্ত করা ও জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা খবই আতংক জনক। এদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই।
জগন্নাথপুর থানার ডিউটি অফিসার সাব ইন্সপেক্টর জহির উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে ৪ আসামীকে গ্রেফতার ও নির্যাতিতা মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়েছে । মুল আসামি লম্পট শামীম কে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply