সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
হাসিনার বিচার চেয়ে ট্রাইব্যুনালে মাওলানা সাঈদীর মামলার সাক্ষী সুখরঞ্জন বালি ভোটাররা একটি সুস্ঠু নির্বাচনের অপেক্ষায় আছেন— কয়ছর আহমদ সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন: কয়ছর এম আহমদ অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপি সরকার গঠন করবে — কয়ছর এম আহমেদ শিগগিরই সরাসরি দেখা হবে: তারেক রহমান হারুন-বিপ্লবের সাত পদক বাতিল “রক্তের আখরে লেখা জুলাই বিজয় “ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি ও শহীদদের স্মরণে জগন্নাথপুর প্রেসক্লাবের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল জগন্নাথপুরে উপজেলা প্রশাসন সহ বিভিন্ন সংগঠনের জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস পালিত জগন্নাথপুরে জামাতের উদ্যোগে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদযাপন

কৃষি জমি সংরক্ষণে বেসরকারি বিল সংসদে উত্থাপন

কৃষি জমি সংরক্ষণে বেসরকারি বিল সংসদে উত্থাপন

জগন্নাথপুর নিউজ ডেস্ক ::
দেশের কৃষি জমির যথাযথ ব্যবহার ও সংরক্ষণ করতে সংসদে বেসরকারি আইন পাসের প্রস্তাব তোলা হয়েছে সংসদে।
আজ এ লক্ষ্যে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য রওশন আরা মান্নান ‘কৃষি জমি (যথাযথ ব্যবহার ও সংরক্ষণ) বিল-২০২২’ শীর্ষক বেসরকারি বিল সংসদে উত্থাপন করেন। পরে বিলটি স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বেসরকারি সদস্যদের বিল ও বেসরকারি সদস্যদের সিদ্ধান্ত প্রস্তাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠান। মন্ত্রী ছাড়া অন্য সংসদ সদস্যদের বেসরকারি সদস্য বলা হয়। সপ্তাহের বৃহস্পতিবারকে বেসরকারি সদস্য দিবস বলা হয়।

এদিনই বেসরকারি সদস্যদের বিল ও সিদ্ধান্ত প্রস্তাব সংসদে ওঠে। তবে মহামারির কারণে দীর্ঘদিন এদিনের কার্যক্রম অন্য সাধারণ দিনের মতো চলে। নবম সংসদে বেসরকারি সদস্যদের উত্থাপিত ১৪টি বিলের মধ্যে ৩টি বিল পাস হয়েছিল। পাস হওয়া বিলগুলোর মধ্যে ছিল সাবের হোসেন চৌধুরীর দ্য লেপার্স (রহিতকরণ) বিল-২০১০ এবং জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নুর পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ বিল-২০১৩ ও নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন-২০১৩। এছাড়া আরও বেশ কিছু বিল উঠলেও তা পাস হয়নি।

কৃষি জমি (যথাযথ ব্যবহার ও সংরক্ষণ) বিলে বলা হয়েছে, আইন কার্যকর হওয়ার পর দেশের সকল কৃষি জমি কৃষি কাজ ব্যতীত অন্য কোনও কাজে ব্যবহার করা যাবে না বা অন্য কোনও কাজের জন্য ভাড়া বা ইজারা বা অন্য কোনোভাবে হস্তান্তর করা যাবে না।
তবে ব্যক্তিগত বসবাসের জন্য ঘর নির্মাণ, কবরস্থান, শ্মশান, অন্যান্য ধর্মীয় সৎকারের স্থান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য এই বিধান প্রযোজ্য হবে না বলে বিলে বলা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনে কৃষি জমির যথাযথ ব্যবহার ও সংরক্ষণের জন্য তদারক কমিটি গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। এই কমিটির প্রধান হবেন সংশ্লিষ্ট এলাকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এছাড়া উপজেলার কৃষি, ভূমি, মৎস, শিক্ষা, পরিসংখ্যান, সমবায়, যুব উন্নয়ন, সমাজসেবা, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা এবং সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এর সদস্য হবেন।
বিলে বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি এই আইনের কোনও বিধান লঙ্ঘন করলে তিন বছরের জেল অথবা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

কেউ কৃষি জমিতে শিল্প কারখানা, রাস্তা, আবাসন বা অন্য স্থাপনা নির্মাণ করলে তদারক কমিটি নোটিশ দিয়ে নির্মাণ কাজ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেবে বলে বিলে বলা হয়েছে।

অন্য আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, নির্মাণ কাজ ভেঙে ফেলার জন্য কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না বলে প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে।
এই আইনের অধীন কৃত অপরাধ আমলযোগ্য হবে বলে বিলে বলা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© All rights reserved © 2017-2023 Jagannathpurnews.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com