শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:৪২ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
হাসিনার বিচার চেয়ে ট্রাইব্যুনালে মাওলানা সাঈদীর মামলার সাক্ষী সুখরঞ্জন বালি ভোটাররা একটি সুস্ঠু নির্বাচনের অপেক্ষায় আছেন— কয়ছর আহমদ সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন: কয়ছর এম আহমদ অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপি সরকার গঠন করবে — কয়ছর এম আহমেদ শিগগিরই সরাসরি দেখা হবে: তারেক রহমান হারুন-বিপ্লবের সাত পদক বাতিল “রক্তের আখরে লেখা জুলাই বিজয় “ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি ও শহীদদের স্মরণে জগন্নাথপুর প্রেসক্লাবের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল জগন্নাথপুরে উপজেলা প্রশাসন সহ বিভিন্ন সংগঠনের জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস পালিত জগন্নাথপুরে জামাতের উদ্যোগে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদযাপন

আজ শ্রীরামসী গণহত্যা দিবস

আজ শ্রীরামসী গণহত্যা দিবস

স্টাফ রিপোর্টার ::
আজ ৩১ আগস্ট শ্রীরামসি গণহত্যা দিবস। ১৯৭১সালের এই দিনে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মীরপুর ইউনিয়নের শ্রীরামসি গ্রামে পাকহানাদার বাহিনী নারকীয় তান্ডব চালিয়ে গ্রামের সহজ সরল শান্তিপ্রিয় ১২৬ জন মানুষকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করে। তারপর দেশ স্বাধীনের পর থেকে এই দিনটি শ্রীরামসি গ্রামবাসী শহীদদের স্মরণে আঞ্চলিক শোকদিবস হিসাবে পালন করে আসছেন। যার ধারাবাহিকতায় এবারও শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া মাহফিল, পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা শহীদ মেধাবৃত্তি বিতরণ সহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। স্হানীয় এলাকাবাসী ও
ইতিহাস সূত্রে, জানা যায়, ১৯৭১ সালের ৩১ আগস্ট সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে পাকহানাদার বাহিনী ৭/৮ টি নৌকাযোগে শ্রীরমাসি বাজারে আসে। এ সময় শ্রীরামসি হাইস্কুল মাঠে শান্তি কমিটির এক সভা আহবান করা হয়। সভায় সকলকে উপস্থিত থাকার জন্য স্থানীয় রাজাকারদের দিয়ে গ্রামবাসীকে খবর দেয় হয়। শান্তির আশায় গ্রামবাসীরা সেদিন স্কুল মাঠে সমবেত হন। সভায় যারা আসতে দেরী করেন তাদেরকে ডেকে আনা হয়। এরপর পাকসেনারা ১০/১২ জন করে বিদ্যালয়ের কাছে ডেকে নিয়ে হাত-পা বেঁধে লাইন ধরিয়ে গুলি করে হত্যা করে। নিহতদের মধ্যে ছিলেন ছাত্র, শিক্ষক, সরকারি কর্মচারী, যুবক, সাধারণ গ্রামবাসী ও বেড়াতে আসা স্বজন। নারকীয় এ হত্যাকান্ডের পরপরই পাকসেনারা শ্রীরামসি গ্রামে ঢুকে গ্রামের প্রায় ২৫০টি ঘরবাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেয়। ভীত সন্ত্রস্ত মানুষ গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে গেলে দাফনের অভাবে লাশগুলোকে কুকুর শেয়াল টানা হেচড়া করে। ঘটনার ৪/৫দিন পর কয়েকজন লোক গ্রামে ফিরে লাশগুলো দাফনের ব্যবস্থা করেন। সেদিন হানাদার বাহিনী নির্মমভাবে ১২৬ জন মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করে। শ্রীরামসি হত্যাকান্ডের বর্বর কাহিনীকে স্মরণ করে ১৯৭৩ সালে তৎকালীন সরকারের পক্ষ থেকে শহীদের নাম সংবলিত স্মৃতিফলক নির্মাণ করা হয় এবং ১৯৮৭ সালে এলাকাবাসীর আয়োজনে শহীদ স্মৃতি সংসদ নামে একটি স্মৃতি সংসদ গঠন করা হয়। স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন জানান, প্রতি বছরের মতো এবারো আমরা স্মৃতি সংসদের পক্ষ থেকে আঞ্চলিক শোক দিবস পালন করতে শহিদদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, আলোচনা সভা,শহীদ স্মৃতি মেধা পুরস্কার প্রদান সহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান সহ ‍গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মাহফুজুল আলম মাসুম বলেন, ৭১ সালে সিলেট অঞ্চলের বড় গণহত্যাগুলোর অন্যতম শ্রীরামসি গণহত্যা। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ গণহত্যার শহীদদের স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।

 

 

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© All rights reserved © 2017-2023 Jagannathpurnews.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com