বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩১ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে পুলিশের উপর হামলায় ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত সাব ইন্সপেক্টর আফছর উদ্দিন কে সিলেট এম এজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ২ মহিলা সহ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
থানা পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, থানার এসআই অনুজ কুমার দাসের নেতৃতে একদল পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের কালনীরচর গ্রামের মোটর সাইকেল পোড়ানোর মামলার আসামী কালনীরচর গ্রামের শবজুল কে গ্রেফতার করলে তার আত্মীয় স্বজনরা পুলিশের হাত থেকে আসামী ছিনিয়ে নেয়। এ সময় লোকজন পুলিশের উপর হামলা চালায়। হামলায় ৫ পুলিশ সদস্য আহত হন। আহত এসআই আফছর উদ্দিন (৪০), এসআই অনুজ কুমার দাস (৪২), এসআই অনিক (৪৫), কনস্টেবল মিজানুর রহমান (৩৮), কনস্টেবল এমরান হোসেন (৩৯) কে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করা হয়। লোহার রডে মাথায় গুরুত্বর আঘাত প্রাপ্ত এসআই আফছর উদ্দিন কে সিলেট এম এজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় পুলিশ কালনীরচর গ্রামের দুই মহিলা সহ ৭জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো হেনা বেগম (৪০), লায়লা বেগম (৪২), লিটন মিয়া (৪০), নজরুল ইসলাম (৩৫), আনা মিয়া (৪৪), শাহআলম (২৮)।
এ ব্যাপারে পুলিশ বাদী হয়ে ৩৯ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাতনামা লোকদের আসামী করে শুক্রবার জগন্নাথপুর থানায় একটি পুলিশ এসল্ট মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে আশারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য শওকত মিয়া জগন্নাথপুর নিউজ ডটকমকে বলেন, আমার ভাই সাবজুলকে আটক করে গাড়িতে তুলে ব্যাপক মারধর করে পুলিশ। এসময় সে পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে যায়। হামলার সময় সেখানে আমি ছিলাম না। এমতাবস্হায় এলাকায় এসে শুনেছি পুলিশের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে গ্রামের লোকজন হামলা করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই অনুজ কুমার দাস শুক্রবার সন্ধায় বলেন, আমরা বৃহস্পতিবার রাতে ঐ এলাকায় আসামী ধরতে যাই এবং আসামী শবজুলকে গ্রেফতার করি। এ সময় আসামীর আত্মীয় স্বজনরা লোহার রড ও ষ্টিলের টর্চ লাইট দিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় আমি সহ ৫ পুলিশ সদস্য আহত হই। গুরুত্বর আহত এসআই আফছর উদ্দিনকে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমি বাদী হয়ে অপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি।
Leave a Reply