বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৩ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :: সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার বাসিন্দা নয়,কিন্তু ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে নিজেদের জগন্নাথপুর বাসিন্দা পরিচয়ে ইতোমধ্যে যে বা যারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে, তাদেরকে প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ হতে শুরু হয়েছে লিখিত পরীক্ষায় স্থানীয় চাকরি প্রত্যাশী ও সচেতন জনসাধারণ।
এ লক্ষ্যে জগন্নাথপুর উপজেলার লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে জগন্নাথপুর পৌরপয়েন্টে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে নিজেদেরকে জগন্নাথপুরের বাসিন্দা পরিচয়ে ইতোমধ্যে যে বা যারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে, তাদেরকে চিহ্নিত করে মৌখিক পরীক্ষা থেকে বাতিল করা হোক। এবং এমন অপরাধের জন্য আইনের হাতে তুলে দিয়ে তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বক্তারা এ সময় স্থানীয় নাগরকিদের স্বার্থ সংরক্ষণ করার জন্য আহবান জানান।
সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং আলমগীর হোসেনের পরিচালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন- স্টুডেন্ট কেয়ার জগন্নাথপুর এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এম.শামীম আহমেদ, দ্বীপক তালুকদার, সুমন সরকার, রিংকু চন্দ্র, জামাল উদ্দিন, আবু তাহের, লিপ্টু দাস, নিধি দাস প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বিগত বছরের মতো এবারও বহিরাগতদের দৌরাত্ব্য বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় উপজেলার চাকুরী প্রার্থীরা উৎকন্ঠায় রয়েছেন। ভুয়া নাগরিক সার্টিফিকেট সংগ্রহের মাধ্যমে স্থানীয় বাসিন্দা সেজে সহকারি শিক্ষক পদে চাকুরি লাভের জন্য এবারও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে তাদের তৎপরতা শুরু হয়েছে। ফলে স্থানীয়দের মধ্যে আবারও সংশয় দেখা দিয়েছে। গত বছরও এই উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দা সেজে ভুয়া নাগরিক সনদপত্র নিয়ে কয়েকজন প্রার্থী চাকুরি নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়, ২০১৮ সালের দিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রাথমিক পর্যায়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। যার প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই সারাদেশের ন্যায় সুনামগঞ্জ জেলায় লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গত ১৪ সেপ্টেম্বর লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। এতে সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যে ১৮৮৪ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। এর মধ্যে জগন্নাথপুর উপজেলায় রয়েছেন ৫০১ জন। তারমধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রার্থীই উপজেলার বাইরের প্রার্থী। যা সরকারি নীতিমালা পরিপন্তী।
লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা চলতি মাসে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই পরীক্ষা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। সে লক্ষ্যে প্রার্থীদের নাগরিক সার্টিফিকেটসহ সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে মৌখিক পরীক্ষার আগে। এজন্য গত কয়েকদিন ধরে জগন্নাথপুর পৌরসভা ও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ভুয়া নাগরিক সনদপত্র সংগ্রহের চেষ্ঠা চলছে।
Leave a Reply