বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ১১:১৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
সুসাস গণপাঠাগার নিয়ে মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সভাপতি শেখ একেএম জাকারিয়া শান্তিগঞ্জে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সভা ১৫ বছরের নিচে কেউ হজে যেতে পারবে না শান্তিগঞ্জের গরুর ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২৫ ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে সুবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মধ্যনগরে বিএনপির ২ গ্রুপে সংঘর্ষ, নিহত ১ জগন্নাথপুরে সেনাবাহিনীর পোশাক-ব্যাজসহ ভুঁয়া মেজর আটক সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইফতার ও দোয়া মাহফিল ছাতকে ধর্ষণের অভিযোগে মসজিদের ইমাম কারাগারে দিরাইয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও গোলাগুলি আহত ২০

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে কূটনীতিকদের উদ্বেগ

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে কূটনীতিকদের উদ্বেগ

জগন্নাথপুর নিউজ ডটকম ডেস্ক : ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের তিনটি ধারা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত কূটনীতিকরা। তারা আইনটির এসব ধারা সংশোধনের বিষয়ে আইনমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

রোববার সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে বৈঠককালে ঢাকায় নিযুক্ত ১১টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও তাদের প্রতিনিধিরা এই উদ্বেগের কথা জানান।

বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেন্সজে টিরিংক ছাড়াও সুইডেন, যুক্তরাষ্ট্র, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, কানাডা, যুক্তরাজ্য, স্পেন, নরওয়ে ও সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রদূতদের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. থমাস প্রিন্স।

বৈঠক শেষে জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. থমাস প্রিন্স সাংবাদিকদের বলেন, আইনমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তারা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এর ধারা ২১, ধারা ২৫, ধারা ২৮ ধরা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এর এই ধারাগুলো জনগণের মুক্তবাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করবে। এই আইনের শাস্তি, জামিন অযোগ্য ধারা এবং এই আইনের অপব্যবহার এই তিনটি বিষয় নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। তাই আমাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছি।

এর আগে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ১১টি দেশের রাষ্ট্রদূত তার সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দেয়া হয়েছিল। তাদের সঙ্গে সেই বৈঠকটি রোববার অনুষ্ঠিত হলো।

মন্ত্রী বলেন, তাদের সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২১, ২৮ ও ২৫ ধারা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই তিনটি ধারা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। এর বাইরে আর কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়নি। তিনি বলেন, আমি তাদের বক্তব্য শুনেছি। আমাদের পক্ষ থেকেও বক্তব্য পেশ করেছি। এগুলো আমি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কাছে পৌঁছে দেব। আমরা তাদের বক্তব্যগুলো দেখব, বিবেচনা করব এবং কিছুদিনের মধ্যে আবার আলোচনায় বসবো।

এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশি আইনজীবী নিয়োগ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, উনিতো আইনজীবী নিয়োগ করতেই পারেন। এক্ষেত্রে তো সরকারের কিছু করার নেই। তবে আমি শুনেছি, যে আইনজীবীকে নিয়োগ করা হয়েছে, সেই লর্ড কার্লাইল নাকি যুদ্ধাপরাধীদের মামলায় তাদের পক্ষ নিয়েছিলেন। যে দল যুদ্ধাপরাধীদের জন্য দোয়া করতে পারে সেই দল এই কার্লাইলের মতো আইনজীবী নিয়োগ দেবে এটাই তো স্বাভাবিক। এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। তবে বিষয়টি দুঃখজনক। বিএনপি বাংলাদেশকে বিশ্বাস করে না এটাই প্রমাণিত হয়েছে।

সূত্র: দৈনিক যুগান্তর

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© All rights reserved © 2017-2023 Jagannathpurnews.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com