সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ১২:৪৩ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
জগন্নাথপুর পৌরশহরে ৫৫ দোকানঘর  ভাড়া থানায় দেওয়ার নির্দেশ পুলিশের জগন্নাথপুরে আদালতের নির্দেশ মোতাবেক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ও নির্ধারিত তারিখে দোকানঘর  নিলাম হয়নি!   সাংবাদিক শংকর রায়ের মৃত্যু তে প্রবাসী  সাংবাদিক তৌফিক আলী মিনার এর শোক জগন্নাথপুর প্রেসক্লাব সভাপতি শংকর রায় আর নেই: প্রেসক্লাবের শোক এবার ৩২ টাকা কেজিতে ৫ লাখ টন ধান,   ১২ লাখ টন চাউল কিনবে সরকার  জগন্নাথপুরে লন্ডন প্রবাসীর বাড়ী বেদখল চেষ্টায় সংবাদ সম্মেলন জগন্নাথপুরে হাওরে ধান কাটার ধুম, বঙ্গবন্ধু-১০০ জাতের ধানে চিটা শান্তিগঞ্জে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পহেলা বৈশাখ উদযাপন শান্তিগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঈদ পুনর্মিলনী ও আলোচনা সভা  উন্নত জাতি বিনির্মাণে সাংবাদিকরা অগ্রণী ভূমকিা পালন করেন: এমএ মান্নান এমপি

আইনজীবী সমিতির সেমিনারে বক্তরা খালেদা-তারেকের ন্যায়বিচার পাওয়ার সম্ভাবনা নেই

আইনজীবী সমিতির সেমিনারে বক্তরা খালেদা-তারেকের ন্যায়বিচার পাওয়ার সম্ভাবনা নেই

জগন্নাথপুর নিউজ ডেস্ক::
সাবেক প্রধান বিচারপতি ও নিম্ন আদালতের আরেক বিচারপতির দেশত্যাগের পর বিচারকদের মধ্যে এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে। দেশে এখন চলছে নিয়ন্ত্রিত বিচার ব্যবস্থা। এই নিয়ন্ত্রিত বিচার ব্যবস্থায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ভিন্ন মতাদর্শের কারোরই ন্যায়বিচার পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
রোববার বিকালে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি আয়োজিত ‘গণতন্ত্র, আইনের শাসন এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। সমিতির শহীদ সফিউর রহমান মিলনায়তনে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীনের সভাপতিত্বে ও সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকনের সঞ্চালনায় সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কিমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি এমাজউদ্দীন আহমদ, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ প্রমুখ।
সেমিনারে ‘গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা’ শীর্ষক একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অ্যধাপক ড. বোরহান উদ্দীন খান।
সেমিনারে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, আওয়ামী লীগ বিগত দিনে সংবিধানকে খণ্ড-বিখণ্ড করেছিল। আমার ৬৫ বছরের রাজনৈতিক জীবন, কখনও দেখিনি ঘটনা ছাড়া মামলা হতে।
তিনি বলেন, দেশে বিচারকের স্বাধীনতা নেই। আইন আছে, আইনের শাসন নেই। বর্তমান সরকার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে ফেলেছে। আমরা গণতন্ত্রকে মরতে দিতে পারি না। জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে এ সরকার পরিবর্তন করে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করব। সদ্য পাস হওয়া ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের বিষয়ে তিনি বলেন, এ আইনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের টুঁটি চেপে ধরা হয়েছে।
আ স ম আবদুর রব বলেন, বিচারপতি এসকে সিনহাকে বিতাড়িত করায় জাতিকে একটি সংকটে ফেলা হয়েছে। যে দেশে প্রধান বিচারপতি বিচার পায় না, সে দেশে খালেদা জিয়া-তারেক রহমান তো দূরের কথা আমরা কেউই বিচার পাব না।
তিনি বলেন, তিনটি স্তম্ভের একটি প্রশাসন যেটা এখন পুলিশ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত এবং রাষ্ট্রটি পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। বাকি দুটি স্তম্ভ (বিচার ও আইন) অসহায় হয়ে পড়েছে।
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বলেন, রাষ্ট্রপতি চার বিচারপতিকে ডেকে নিয়ে গেলেন, তাদেরকে শিখিয়ে দিলেন। তারা এসে রাষ্ট্রপতির কথামতো বললেন, তোমার সঙ্গে (সুরেন্দ্র কুমার সিনহা) আমরা বিচারে বসব না। অভিযোগের মামলা দায়ের, অভিযোগের আগেই বিচার হয়ে গেল। সাবেক প্রধান বিচারপতিকে বের করে দেয়া হয়েছে আইনজীবীদের অনৈক্যের কারণে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা থাকলে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে আজ জেলে যেতে হতো না এবং তারেক রহমানের ওপর এ ধরনের নির্যাতন হতো না। আমাদের লড়াই করতে হবে বিচার বিভাগের পরিপূর্ণ স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান বিনির্মাণের জন্য।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, দেশে এমন কোনো পরিবার পাওয়া যাবে না, যারা এই সরকারের দ্বারা নিপীড়িত হয়নি।
তিনি বলেন, যে ঐক্যের ডাক দেয়া হয়েছে, সেই ঐক্য যেন বাস্তবায়ন হয়, চাওয়া-পাওয়া পরে দেখা যাবে। নরম সুরে কথা বললে লাভ হবে না। এ সংকট থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, দেশে এখন কোনো ন্যায়বিচারের পরিবেশ নেই। বিচারকরাই যেখানে আতঙ্কিত সেখানে খালেদা-তারেক বা বিরোধী দলের কারোরই ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার নেই।
জয়নুল আবেদীন বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিচারের নামে যদি প্রহসন করা হয়, তাহলে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি দেশের সব আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে শক্তভাবে এর জবাব দেবে।
বিচারকদের হুশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আমরা কিন্তু পর্যবেক্ষণ করছি, আজকের সেমিনার মহড়া মাত্র। রায় যদি প্রহসনের বিচার হয় তাহলে কালো কোর্টধারীরা কিন্তু বসে থাকবে না।
অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, বর্তমানে দেশে নিয়ন্ত্রিত বিচার ব্যবস্থা চলছে। ১৬ কোটি মানুষ আজ অবরুদ্ধ। দেশের মানুষ আজ কারাগারে। একদিনের জন্য একটা ভোটের মহড়া হয়। এ সরকার ২০০৮ সালে নির্বাচিত হয়েছিল এখন এ সরকার একটি অনির্বাচিত ও অবৈধ সরকার।
সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার বিরুদ্ধে ঘুষের মামলা করেছেন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। দুর্নীতির মামলায় যিনি সাজাপ্রাপ্ত। এই সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি কীভাবে সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার বিরুদ্ধে মামলা করলেন প্রশ্ন রাখেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© All rights reserved © 2017-2023 Jagannathpurnews.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com